" আমরা সবাই জানি যে আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। আমরা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। আজ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পদার্পন করেছে এবং উন্নত দেশে পদার্পণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে প্রচলিত শিক্ষার শুধুমাত্র পরিবর্তন নয়; প্রয়োজন শিক্ষার রূপান্তর।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল ভিত্তি হচ্ছে প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থা ভবিষ্যৎ তো দূরের কথা বর্তমানেই আমাদের সন্তানকে যোগ্য করে তুলছে না। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমি ১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর গাজীপুর জেলার ছায়াবিথীতে প্রথম আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। যার ফলে আজ আমরা সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি।
আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে, আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ শুরু থেকে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীর জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রমের পাশাপাশি নিজস্ব শিক্ষাক্রম ও বিজয় শিশু শিক্ষা সংযুক্ত করে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে।
ইতোমধ্যে আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ ডিজিটাল শিক্ষা রূপান্তরের পথিকৃৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সারাদেশে পরিচিতি লাভ করেছে। ১৯৯৯ সাল থেকে আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমে ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তার থাকলেও দাউদকান্দি উপজেলা কেন্দ্রিক ডিজিটাল শিক্ষার অপূর্ণতা রয়েছে। দাউদকান্দিবাসীর এই অপূর্ণতা পূরণে দীর্ঘ ২৪ বছর পেরিয়ে আমার স্নেহভাজন জনাব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন দাউদকান্দিতে ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করার অনুমতি চাইলে আমি তার উদ্যোগকে স্বাগত জানাই ও সাদরে গ্রহণ করি।
আমি আশা করি আমাদের এই নতুন উদ্যোগ আপনাদের সন্তানকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী শিক্ষা প্রদান করে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নেতৃত্ব দেবার যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ।
ধন্যবাদান্তে-
মোস্তাফা জব্বার